জোড়াতালিতে চলছে ৪৯ সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট@!

জোড়াতালিতে চলছে ৪৯ সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট@!

দেশের ৪৯ সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট চলছে জোড়াতালি দিয়ে। প্রতিষ্ঠানের ভৌত অবকাঠামো, প্রয়োজনীয় ল্যাবরেটরি আছে। কিন্তু শিক্ষার্থীদের শেখানোর জন্য নেই পর্যাপ্ত শিক্ষক। বিয়ষ-ভিত্তিক শিক্ষক না থাকায় এক বিষয়ের শিক্ষক পড়ান অন্য বিষয়। ফলে শিক্ষকের ভোগান্তি যেমন বাড়ছে, তেমনি অন্য বিষয়ের শিক্ষক ক্লাস নেয়ার কারণে প্রকৃত শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা।

পলিটেকনিকে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধিতে অধিদপ্তর আগ্রহী। কিন্তু এই প্রতিষ্ঠানগুলোর সংকট সমাধানে ততটা উদ্যোগী নয়—এমন অভিযোগ শিক্ষকদের। প্রতি বছর কয়েক হাজার নতুন শিক্ষার্থী নিয়ে নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হলেও ৪৯ পলিটেকিনিকে খালি পড়ে আছে প্রায় ৫০ শতাংশ শিক্ষকের পদ। অধিকাংশ কলেজে নেই উপাধ্যক্ষ। পূর্ণকালীন অধ্যক্ষ ছাড়াই চলছে অর্ধেকের বেশি পলিটেকনিক কলেজ। যেখানে শিক্ষকের চরম সংকটে এক শিফটের কার্যক্রমেই চলছে না, সেখানে আবার নতুন শিক্ষক ছাড়াই চলছে ডাবল শিফট।

দেশে ৪৯টি পলিটেকনিকের মধ্যে ২১টি পলিটেকনিকে নেই কোনো অধ্যক্ষ। উপাধ্যক্ষরা ওই পদের ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বে রয়েছেন। এ ছাড়া, উপাধ্যক্ষ পদের এক ধাপ নিচের পদ চিফ ইনস্ট্রাকটরাও সরকারি পলিটেকনিকে অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করছেন।

তথ্য অনুযায়ী—৪৯টি পলিটেকনিকের মধ্যে ১৮টিতে জনবলের পদ রয়েছে ১৯৩২টি। এর মধ্যে ১ হাজার ১০টিই শূন্য। আর ৪৯ টিতে অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষসহ মোট শিক্ষকের পদ রয়েছে ২ হাজার ৫০৯টি। এর প্রায় অর্ধেক শিক্ষকের পদ শূন্য। যদিও সম্প্রতি স্কিলস অ্যান্ড ট্রেনিং এনহ্যান্সমেন্ট প্রজেক্টের মধ্যেমে মোট শূন্য পদের ৫৩০ শিক্ষক শুধু প্রকল্প চলাকালীন সময়ের জন্য নিয়োগ দেয়া হয়েছে। প্রকল্পের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন—আরো ৫১৭ জন শিক্ষক নিয়োগের জন্য কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। এ বিষয়টিও বিবেচনা করা হচ্ছে।

২০০৮-০৯ শিক্ষা-বর্ষ থেকে শিক্ষার্থী ভর্তি করছে কিশোরগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট। এই প্রতিষ্ঠানে ৩৮টি শিক্ষক পদ থাকলেও এ প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব মাত্র ৪ জন শিক্ষক রয়েছে। অন্য পলিটেকনিক থেকে অস্থায়ী ভিত্তিতে ৯ জন শিক্ষক এসে এখানে ক্লাস নিচ্ছেন। যেখানে প্রতি বিভাগে ৭ জন শিক্ষক প্রয়োজন, সেখানে রয়েছেন একজন করে। এই পলিটেকনিকে বাংলা বিষয়ের জন্য কোনো শিক্ষক নেই, ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক বাংলা পড়ান। এখানে দুই ব্যাচে ১ হাজার ৩০০ শিক্ষার্থী লেখাপড়া করছে। নরসিংদি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের উপাধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ এখানে ডেপুটেশনে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বলেন, 'কোনোমতে শিক্ষাকার্যক্রম চালানো হচ্ছে। তবে নতুন একটি প্রকল্পের মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। এর মাধ্যমে কিছুটা সমস্যার সমাধান হতে পারে।'

নরসিংটি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে শিক্ষক সংকট থাকলেও এ প্রতিষ্ঠান থেকে কিশোরগঞ্জ পলিটেকনিকে ২ জন, নওগাঁ পলিটেকনিকে ১ জন এবং ফেনী কম্পিউটার ইনস্টিটিউটে ১ জন শিক্ষককে ডেপুটেশনে পাঠানো হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানে ৩৬ পদের বিপরীতে শিক্ষক ছিল মাত্র ১৪ জন। একটি প্রকল্প থেকে অস্থায়ী ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হলেও এখন এই প্রতিষ্ঠানটিতে ৫ জন শিক্ষক কম রয়েছেন।

প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ সুশীল কুমার পাল বলেন, 'আমরাও প্রকল্পের শিক্ষক। দীর্ঘ দিন ধরে কাজ করছি। তিন মাস পর পরে থোক বরাদ্দ পাচ্ছি। বিশ্ব ব্যাংকের একটি প্রকল্প থেকে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এই শিক্ষকরা থাকবেন ২০১৫-১৬ সাল পর্যন্ত। এর পর কী হবে—অধিদপ্তরই বলতে পারবে।'

সরকারি ফেনী কম্পিউটার ইনস্টিটিউট। পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সব শিক্ষাকার্যক্রমই চলছে। এই প্রতিষ্ঠানটিতে ৩৬টি পদের বিপরীতে শিক্ষক আছেন ৭ জন। এ ছাড়া, ৪ জন শিক্ষক অন্য পলিটেকনিক থেকে ডেপুটেশনে রয়েছেন। প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুল মান্নান বলেন, 'এই শিক্ষকদের দিয়েই শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। মাস্টার রোলেও শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়েছে।'

কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহজাহান মিয়া বলেন, 'পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে অনেক পদ শূন্য রয়েছে। আগে নিয়োগ-বিধি ছিল না। এখন হয়েছে। পদ শূন্য হলে পিএসসির কারণেই শিক্ষক নিয়োগে বিলম্ব হয়।'

অধিদপ্তরের পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) বলেন, 'স্কিলস অ্যান্ড ট্রেনিং এনহ্যান্সমেন্ট প্রজেক্টের মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আরো অনেক শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে।'

সব সমাধানই অস্থায়ী:

পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের এই শিক্ষক সংকট কাটিয়ে উঠতে যে উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে, তা পুরোটাই অস্থায়ী। পাঁচ বছর মেয়াদি একটি প্রকল্প শেষ হবে ২০১৫ সালের জুনে। তবে প্রকল্প কর্মকর্তারা বলছেন—এটি ২০১৬ সালের জুন পর্যন্ত চলবে। শুধু প্রকল্প চলাকালে সময়ের জন্য ইতিমধ্যে ৫৩০ জন শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া, আরো ৫ শতাধিক শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে। অধিদপ্তরের কর্মকর্তা এবং পলিটেকনিকের শিক্ষকরা বলছেন—সরকারের এই উদ্যোগ অস্থায়ী। প্রকল্প শেষ হওয়ার সাথে সাথে শিক্ষকরাও চাকরি হারাবেন। অনেকে চাকরি স্থায়ী হওয়ার আশায় বছরের পর বছর অপেক্ষা করবেন। বিনা বেতনে চাকরি করবেন। স্থায়ী হতেও পারে, নাও পারে। এর ৬ বছর আগে একটি প্রকল্প শেষ হলেও ওই প্রকল্পের শিক্ষক এখনো স্থায়ী হননি। ওই সময় নিয়োগ পাওয়া অর্ধেকের বেশি শিক্ষক চলে গেছেন। এখন থোক বরাদ্দ থেকে তিন মাস পরপর বেতন পাচ্ছেন। সাময়িক সমাধান হলেও ২০১৬ সালের জুনের পর আবার বড় ধরনের শিক্ষক সংকটে পড়তে হবে পলিটেকনিক কলেজগুলোকে।
আরও পড়ুন

১২ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে সতর্কতা ইউজিসির!!


যেসব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে মামলা-মোকদ্দমা ও অবৈধ ক্যাম্পাস পরিচালনাসহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা আছে, সেগুলোর তালিকা প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। এ ধরনের বিশ্ববিদ্যালয় ১২টি। এগুলোর মধ্যে ছয়টি আদালতের স্থগিতাদেশ নিয়ে ক্যাম্পাস চালাচ্ছে, যার চারটিতে আবার মালিকানার দ্বন্দ্বে মামলা চলছে।
ইউজিসির নির্দেশ অমান্য করে অননুমোদিত ক্যাম্পাস পরিচালনা করছে ছয়টি। এর মধ্যে অবশ্য মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্ব থাকা দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ও আছে। এ ছাড়া অনিয়মের কারণে দুটি বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দেওয়া হলেও আদালতের স্থগিতাদেশ নিয়ে চলছে।
ইউজিসির তালিকায় থাকা ওই বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়, প্রাইম ইউনিভার্সিটি, সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, নর্দার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, ইবাইস ইউনিভার্সিটি, অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, দি পিপলস ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, আন্তর্জাতিক ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম, শান্ত মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি, আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি ও কুইন্স ইউনিভার্সিটি।
ইউজিসি আজ সোমবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এই তালিকা প্রকাশ করেছে, যা পত্রপত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়েও প্রচার করা হবে বলে জানিয়েছেন ইউজিসির একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা। ইউজিসি এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের সঠিক তথ্য যাচাই করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
৩ সেপ্টেম্বর প্রথম আলোয় ‘অবৈধ শাখা ক্যাম্পাস চালাচ্ছে ১২ বিশ্ববিদ্যালয়’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
আরও পড়ুন
মেডিকেল-ডেন্টালে ভর্তিতে লিখিত পরীক্ষায় ৪০ নম্বরই লাগবে!!

মেডিকেল-ডেন্টালে ভর্তিতে লিখিত পরীক্ষায় ৪০ নম্বরই লাগবে!!

মেডিকেল ও ডেন্টালে ভর্তি হওয়ার জন্য লিখিত পরীক্ষায় কমপক্ষে ৪০ নম্বর পাওয়ার আগের সিদ্ধান্তই বহাল রেখেছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়। ১৪ নভেম্বর রোববার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় ৪০ নম্বর রাখার বিষয়টি চূড়ান্ত হয়। medical
সভায় উপস্থিত একাধিক সূত্র জানিয়েছে, মূলত বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোর অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে এই সভা ডেকেছিল মন্ত্রণালয়। প্রধানমন্ত্রীর সাবেক স্বাস্থ্য উপদেষ্টা সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক দীন মো. নূরুল হক এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা অনুষদের ডিন মোরশেদ আহমেদ চৌধুরী নম্বর কমানোর পক্ষে সভায় বক্তব্য দেন।
এ বছরের ১ জুলাই মন্ত্রণালয়ের মেডিকেল ও ডেন্টালে ভর্তিসংক্রান্ত কমিটির সভায় ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষে লিখিত পরীক্ষায় ৪০ নম্বর পাওয়া শিক্ষার্থী ভর্তির আবেদন করতে পারবেন, এমন সিদ্ধান্ত হয়। এরপর ভর্তি পরীক্ষা হয়েছে। সব সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। ঢাকার একাধিক বেসরকারি মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের ভর্তির প্রক্রিয়া প্রায় শেষ। এরই মধ্যে কয়েকটি বেসরকারি কলেজ সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়ে বলছে যে তারা শিক্ষার্থী পাচ্ছে না, আসন খালি পড়ে আছে। ভর্তির সর্বনিম্ন ৪০ নম্বরের নিচে নামালে তারা শিক্ষার্থী পাবে। এসব কলেজে ভর্তি ফি ১০ থেকে ১৪ লাখ টাকা।
সভার কাগজপত্রে দেখা যায়, বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোর পক্ষ থেকে লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী সব শিক্ষার্থীকে ভর্তির সুযোগ দেওয়ার জন্য মন্ত্রণালয়ের কাছে অনুরোধ জানানো হয়েছিল। অর্থাৎ ওই অনুরোধ রাখলে লিখিত পরীক্ষায় শূন্য পাওয়া শিক্ষার্থীকে তারা ভর্তি করতে পারবে। মূলত তাদের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে সব পক্ষের মতামত নেওয়ার জন্য মন্ত্রণালয় এই সভা ডেকেছিল।
সভাসূত্রে জানা যায়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রাণ গোপাল দত্ত, বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিলের সভাপতি আবু শফি আহমেদ আমিন ও রেজিস্ট্রার জেড এইচ বাসুনিয়া, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মাহমুদ হাসান ও মহাসচিব ইকবাল আর্সলান, ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা অনুষদের ডিন ইসমাইল খানসহ অন্যরা ৪০ নম্বর রাখার পক্ষে সভায় যুক্তি তুলে ধরেন।
তথ্যসূত্রঃ দৈনিক শিক্ষা.কম
আরও পড়ুন
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ইউনিট ভিত্তিক তারিখ@

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ইউনিট ভিত্তিক তারিখ@

comilla_university 
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ইউনিট ভিত্তিক দিন ও সময়  প্রকাশকরা হয়েছে।  A ইউনিট ভর্তি পরীক্ষা ১৭ ডিসেম্বর সকাল ১০.০০- ১১.০০ টা, B ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ১৭ ডিসেম্বর বিকাল ৩.০০- ৪.০০ টা, C ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ১৮ ডিসেম্বর সকাল ১০.০০- ১১.০০ টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া ভর্তি পরীক্ষার বিস্তারিত তথ্যাবলী ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ভর্তি নির্দেশিকা থেকে জানা যাবে। আসন বিন্যাস ও সংশ্লিষ্ট তথ্য যথাসময়ে লেখাপড়া বিডি থেকে জানা যাবে।


সকালের পরীক্ষায় সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার্থীকে সকাল ০৯.০০ টার মধ্যে পরীক্ষার হলে উপস্থিত থাকতে হবে এবং বিকালের পরীক্ষায় সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার্থীকে বেলা ০২.০০ টার মধ্যে পরীক্ষার হলে উপস্থিত থাকতে হবে।বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার মোঃ দলিলুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
উল্লেখ্য, পরীক্ষার হলে সকল প্রকার ইলেক্ট্রিক ডিভাইস নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন

এসএসসি পরীক্ষার রুটিন ২০১৫

                                     এসএসসি পরীক্ষার রুটিন ২০১৫


আরও পড়ুন

যেভাবে জানবেন পিএসসি পরীক্ষার ফলাফল!



বাংলাদেশে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হতে যাচ্ছে ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৩ সোমবার। সকাল থেকেই ফলাফল প্রকাশের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হবে বলে আশা করা গেলেও সাম্প্রতিক অভিজ্ঞতা অনুযায়ী এ ধরণের পাবলিক পরীক্ষার ফল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য ইলেকট্রনিক উপায়ে অপেক্ষমাণ শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের নিকট পৌঁছাতে কমপক্ষে দুপুর ১২টা থেকে ২টা বেজে যায়।
২৯ তারিখ রবিবারে জেএসসি-জেডিসির ফলাফল আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশিত হয়েছে দুপুর ২টায়। এর পরের দিন অর্থাৎ ৩০ তারিখে প্রকাশিতব্য (প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা) পিএসসি পরীক্ষার ফলাফল জানার উপায় নিয়ে আমাদের অনেক পাঠক বিভিন্নভাবে আমাদের সাথে যোগাযোগ করেছেন। আশা করি এই পোস্টটি তাঁদের কাজে আসবে।
পিএসসি পরীক্ষার রেজাল্ট জানতে ডিপিই-টেলিটকের এই অফিসিয়াল সাইটটি http://dperesult.teletalk.com.bd/dpe.php ভিজিট করুন ও প্রয়োজনীয় তথ্য পূরণ করে সাবমিট বাটনে ক্লিক করে ফলাফল জানুন।
অথবা আপনি চাইলে মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমেও ফলাফল জানতে পারেন। এজন্য নিচের ফরম্যাট অনুসরণ করুন। (উপজেলা কোড পরীক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশন পেপারে পাওয়া যাবে)
প্রাইমারী সমাপনী পরীক্ষার রেজাল্টঃ
DPE <space> Upazila Code <space> RollNumber <space> 2013   
ইবতেদায়ী সমাপনী পরীক্ষার রেজাল্টঃ
EBT <space> Upazila Code <space> RollNumber <space> 2013
এবার মেসেজটি 16222 নাম্বারে পাঠিয়ে দিন। ফিরতি এসএমএসে ফলাফল জানতে পারবেন।
এসএমএসের মাধ্যমে ফলাফল জানার উপরোক্ত নিয়মটি গ্রামীণফোন অনলাইন কাস্টমার কেয়ার থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এটি সব মোবাইল অপারেটরে কাজ করবে কিনা নিশ্চিত না। তবে ১৬২২২ পোর্টাল সব অপারেটরেই কাজ করবে বলে আশা রাখি। আর যদি কাজ না করে, তবে আপনার জিপি মোবাইল থেকেই এসএমএস পাঠাবেন।
সবার জন্য রইল অনেক অনেক শুভকামনা  !!
আরও পড়ুন

মানসিকভাবে শক্তিশালী হোন ১৩টি দোষ এড়িয়ে [ পর্ব – ১]

জীবনে চলার পথে মোটামুটি আমাদের সবারই ইচ্ছা থাকে মানসিকভাবে শক্তিশালী হতে। কিন্তু জীবনে চলার পথে খুব কমজনই পারে মানসিক ভাবে শক্ত হতে ও বিপদে বা কষ্টে স্থির থাকতে। তাই আজ আমরা দেখবো কিভাবে সফল ব্যক্তিরা মানসিকভাবে শক্তিশালী বা স্থির থাকেন। সাধারণ ১৩টি বিষয় এড়িয়েই আমরা পারি নিজের মানসিক শক্তি বৃদ্ধি করতে। সেগুলো আসুন একে একে জেনে নেই:-



১) নিজেকে ছোট মনে করা
জীবনে চলার পথে ব্যর্থতা আসবেই। তাই বলে সবকাজের জন্য নিজেকে দায়ী করা চলবে না। নিজেকে ছোট মনে করলে আপনি কখনই সামনে এগোতে পারবেন না। তাই নিজেকে কখনই ছোট ও সব দোষে দোষী মনে করা যাবে না। বরং সফল মানুষদের ন্যায় নিজেকে সংশোধিত করে সামনে এগুতে হবে।
বি:দ্র:- তবে আজকাল অনেকে নিজেকে এত গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন যে নিজের বাবা-মা সহ অন্যান্য মুরুব্বিদেরও অসম্মান করে বসেন। এতে হিতে বিপরীত হয়ে যায়। মনে রাখবেন, অতিবাড়বেড়োনাঝড়েপড়েযাবে, অতিছোটহয়োনাছাগলেপাড়াবে
২) নিজের যোগ্যতা থেকে দূরে থাকা
আপনি যা ভাল ভাবে করতে পারেন অখবা আপনার পছন্দের কাজ হতে দূরে থাকলে আপনি কখনই সুখি হবে না। যেমন ফ্যামিলির চাপে ডাক্তারি পড়ছেন কিন্তু ইঞ্জিনিয়ারিং আপনার প্রিয় বিষয়। তাহলে আপনি কখনই মন থেকে শান্তি পাবেন না।বরং পছন্দে কাজে নিজেকে নিয়জিত করে সমাজকে আরও ভাল কিছু দিতে চেষ্টা করুন।
৩) পরিবর্তনকে ভয় পাওয়া
পুরাতন ধ্যান ধারনায় আটকে থাকা। নতুন কিছুতে অভ্যাসের ব্যাপারে খুবই ভীত থাকা। কিন্তু নতুন সব বিষয়ই খারাপ নয়। বরং আপনাকে যাচাই বাছাই করতে হবে। তাতে কষ্ট হয় তো হোক। আগামীর উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য একটু কষ্টতো আপনাকে, আমাকে, আমাদের সকলকেই করতে হয়; তাইনা?
৪) সবকিছুকে নিজের নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা করা
মানসিকভাবে শক্তিশালি হতে হলে পৃথিবীতে কিছু কিছু বিষয় ছেড়েদিতে হবে।সববিষয়ে নিজেকে অররাউন্ডার করতে হবে এসব চিন্তা ছেড়ে দিন। যা পারবেন না যা আপনার দ্বারা হবে না তা নিয়ে সারাজীবন ব্যস্ত থাকার কোন মানে হয়না। বরং কিছু দূর চেষ্টা করার পর তা ছেড়ে দিয়ে দ্রুত নতুন কিছু শুরু করুন যাতে আপনি দক্ষ এবং ভাল করতে পারবেন।
টিপস্:- অনেকে মনে করেন জীবনের সফলতা সংক্রান্ত কোন কাজ ভাল করার জন্য একবছর চেষ্টা করা যেতে পারে। যদি কোনপ্রকার ভাল ফল না আসে তাহলে তা ছেড়ে দেওয়াই ভাল। বরং নতুন কিছু নিয়ে চেষ্টা করা ভাল। নতুন কোন কাজ পরখ করে দেখা ভাল।
(চলবে)
আরও পড়ুন

ত্বকের ভিন্নতার উপর ভিত্তি করে চুলের কালার নির্বাচন!!

সৃষ্টির শুরু থেকে এখন পর্যন্ত মেয়েদের ঘন কালো চুলের সৌন্দর্যের প্রশংসা চলে আসছে। কিন্তু সময় পরিবর্তনের সাথে সাথে এখন এই ঘন কালো চুলের ফ্যাশনেরও অনেক পরিবর্তন এসেছে। এখনকার যুগের মেয়েরা আর এত লম্বা কালো চুল পছন্দ করে না। সময় বাচানো এবং ফ্যাশন দুইটার স্বার্থেই তারা চুলে বিভিন্ন কাট এবং রঙ ব্যাবহার করছে। তবে চুলে বিভিন্ন কালার করার পূর্বে কয়েকটি জিনিসের উপর বিশেষ খেয়াল রাখা উচিত। কারন সব ধরনের রঙ সব গড়ন ও রঙের চেহারায় ভালো লাগে না। যদি মুখের গড়ন, রঙ বা চুলের আকারের সাথে মিলিয়ে রঙ করা হয় তবে দেখতে কিন্তু বেশ লাগে। কিন্তু বেশীরভাগ সময়েই ঠিকমতো এবং ভালো কোন পার্লার থেকে এইসব চুলের রঙ করার কাজটি করা হয় না বলে চুল রঙ করে বিপদে পড়েন অনেকেই। কিন্তু মুখের গড়ন অ রঙের সাথে মিলিয়ে চুল কালার করলে অনেক স্টাইলিশ লাগে। সাধারন লম্বা চুলের চেয়ে ছোট চুলে কালার করলে বেশী ভাল মানায়। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে এর ব্যাতিক্রম ও আছে। তাই আজ আমরা মুখের গড়ন ও রঙের উপর ভিত্তি করে কোন রঙটি আপনার চুলে বেশ ভালো মানাবে তা নিয়ে আলোচনা করব।


রিচ ব্রুনেটঃ
ব্রুনেট হচ্ছে চকলেটের চেয়েও ডার্ক একটা রঙ। সাধারণত যাদের ত্বকের রঙ কালো অথবা শ্যামলা তাদের এই রঙটি বেশ মানিয়ে যায় এবং এতে তাদের আরো উজ্জ্বল লাগে। লম্বা স্টেইট চুলে কালার করলে সামনের দিকের চুলে লেয়ার করে নিতে পারেন। আবার কার্ল চুলেও অনায়াসে এই রঙটি ব্যবহার করতে পারেন।
ডার্ক চকলেটঃ
চুলের রঙের জন্য ডার্ক চকলেট রংটি অনেক পুরুনো। যেকোন রঙের ত্বকেই এই রংটি বেশ মানিয়ে যায়। এক্ষেত্রে চুল লম্বা হলে কালার করার আগে নিচের দিকে লেয়ার, লেজার অথবা স্টেপ লেয়ার কাট দিয়ে নিতে পারে। এই রংটির একটি বিশেষ সুবিধা হচ্ছে এটি ব্যাবহারে চুলের রঙের পার্থক্য খুব বেশী বোঝা যায় না। তাই যারা নিজেদের ফর্মাল লুক একটু পরিবর্তন করতে চান তারা অনায়াসে এই রঙ ব্যাবহার করতে পারেন।
ব্রোঞ্জ কালার এবং গোল্ডেন হাইলাইটঃ
চুলে একটু গর্জিয়াস এবং উজ্জ্বল লুক চাইলে সফট ব্রোঞ্জ রঙের সাথে সোনালী হাইলাইট রঙ পছন্দ করতে পারেন। এই রংটি ফর্সা ত্বকের অধিকারী মেয়েদের অনেক বেশী ভালো লাগে। প্রথমে চুলে ব্রোঞ্জ কালার করে নিন। এরপর চুলের পেছনে ও সাম্নের দিকে কিছু চুল বাছাই করে গোল্ডেরন রঙের হাইলাইট করে নিন। এটি স্ট্রেইট চুলে বেশী মানানসই হয়। বিশেষ করে যেসব মেয়েদের চোখের রঙ হালকা বাদামী তাদের চেহেরায় এই রংটি বেশ মানিয়ে যায়।
বারগোন্ডি রঙঃ
চুলের রঙের জন্য বারগোন্ডি রংটি সবচেয়ে ভালো হয়। কারণ এটি যেকোন গড়ন ও রঙের স্কিক টোনের সাথে মানিয়ে যায়। এই রংটির বিশেষত্ব হচ্ছে এটি আলোতে তার নিজস্ব রঙ প্রকাশ করে। বিশেষ করে যারা চাকুরীজীবী তারা অনায়াসে এই রংটি পছন্দ করতে পারেন।
গোল্ডেন কপারঃ
এই রঙটি উজ্জ্বল রঙের মেয়েদের জন্য ভালো হয় বিশেষ করে যাদের গোলাপী, পার্পেল ও সবুজ রঙের পোশাকে অনেক ভালো লাগে। কারন চুলের এই রঙটি সব ধরনের পোষাকের সাথে মানায় না। বিশেষ করে কার্ল মাঝারী সাইজের চুলে এই রঙটি বেশ ভাল লাগবে।
শেড রঙঃ
চুলের রঙের ক্ষেত্রে সবচেয়ে স্টাইলিশ হচ্ছে শেড রঙ। এটি উপরেরে দিকে গাঢ় হয়ে ক্রমাগত হালকা হতে হতে চুলের আগায় নেমে আসে। আপনার চেহারার ধরণ অনু্যায়ী যেকোন শেড পছন্দ করে নিতে পারে। যেমন ফর্সা ত্বকের জন্য বাদামী, ব্রুনেট, গোল্ডেন কপার, সাম্বার, পার্পেল বারগোন্ডি ইত্যাদি। আবার একটু ডার্ক স্কিনের জন্য ডার্ক চকলেট, ব্রুনেট, কপার ইত্যাদি। চুলে শেড করতে চাইলে চুল একটু ছোট অর্থাৎ কাধ পর্যন্ত থাকলে বেশী ভালো হয়। এক্ষেত্রে যাদের চুল স্ট্রেইট তারা কালার করার পর চুলের নিচের অংশে হালকা কার্ল করে নিতে পারেন। এতে আরো স্টাইলিশ লাগবে।
আরও পড়ুন

শরীরের রোগ প্রতিরোধ করবে যেসব খাবার!!

মানুষের সুস্থভাবে বেশীদিন বেচে থাকতে হলে অবশ্যই স্বাস্থ্যকর খাবার প্রয়োজন। যেগুলো শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে শরীরকে সবসময় সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে। কিন্তু আজকার ফাস্টফুড, বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট এর তীব্র সাদযুক্ত খাবার, কোল্ড ড্রিঙ্কস ইত্যাদির ভিড়ে পুষ্টিকর খাবারের কথা যেনো আমার প্রায় ভুলতে বসেছি। কিন্তু এইসব খাবার আমাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই ক্ষতিকর। পুষ্টিকর খাবার একদিকে যেমন আমাদের সুস্থভাবে বেশীদিন বেচে থাকতে সাহায্য করে তার সাথে সাথে মানুষের তারুণ্যও অনেকদিন ধরে রাখে। আজ আমরা এমন কয়কটি খাবার নিয়ে আলোচনা করব যার সাহায্যে আমারা আমাদের শরীরের বিভিন্ন রোগের প্রতিষেধক তৈরী করতে পারি এবং আমাদের সুস্থ থাকার জন্য যেগুলো অতন্ত জরুরী।

ওজন কমাতে বেরির ভুমিকা অতন্ত গুরুত্তপুর্ন। এছাড়া এতে প্রচুর পরিমানে এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বাড়িয়ে দেয়। বিভিন্ন ধরনের রঙ্গিন বেরী যেমন ব্লাকবেরী, স্ট্রবেরী এগুলোর প্রচুর পরিমান এন্টিঅক্সাইড বিভিন্ন ধরনের হৃদরোগ ও ক্যান্সারের বিরুদ্ধ্যে এন্টিবডি তৈরী করতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন নাস্তায় এক কাপ করে বেরি খাওয়ার অভ্যাস করুন।
দুগ্ধ যুক্ত খাবার থেকে শুধু ক্যালসিয়ামই পাওয়া যায় না বরং এটি প্রোটিন, ভিটামিন ডি এবং মিনারেল এর সবচেয়ে বৃহৎ উৎস। এগুলো আপনার হাড়কে শক্ত করে এবং আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করে। অনেক গবেষনার ফলাফল থেকে দেখা গেছে প্রতিদিন ২ থেকে ৩ ধরনের দুগ্ধ যুক্ত খাবার পেটের মেদ কমাতে ও অতিরিক্ত ওজন কমাতে সাহায্য করে। তাই কম চর্বিযুক্ত দুগ্ধজাত খাবার যেমন দই, মিল্ক সেক হতে পারে আপনার নাস্তার একটি প্রধান উপাদান।
প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় টক জাতীয় ফল যেমন বাতাবি লেবু, কমলা, মাল্টা ইত্যাদি রাখুন। কারন এসব ফলে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি থাকে যা ক্যান্সারের বিরুদ্ধ্যে লড়তে সাহায্য করে। এছাড়া যাদের অ্যাসিডিটির সমস্যা আছে তারা লেবু এক গ্লাস পানিতে চিপে চিনি অথবা লবন ছাড়া খেয়ে নিন। এতে হজম শক্তি বাড়বে।
বাদামে প্রচুর চর্বি থাকেলেও এটি শরীরের জন্য ক্ষতিকর নয়। বাদাম প্রটিন, ফাইবার, স্যালেনিয়াম, ভিটামিন ই ও ভিটামিন এ এর বৃহৎ উৎস যা লোয়ার কলেস্ট্রলের লেবেল বাড়ানো এবং হৃদরোগ কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন কিছু বাদাম আপনার হার্ট এটারক এর সম্ভাবনাকে ৪০% পর্যন্ত কমাতে সাহায্য করে।
এছাড়া সুস্থ থাকতে সবজির বিকল্প নেই। এই শীতের বাধাকপি, ফুলকপি এই সবের গুনের কথা লিখে শেষ করা যাবে না। ফুলকপিতে রয়েছে গ্লুটাথিয়ন জাতীয় ভিটামিন যা শরীরে ক্ষতিকর ব্যাক্টেরিয়া প্রবেশ করা থেকে বিরত রাখে। তাছাড়া ব্রুকলি, বেবি কর্ন, বিন এইসব সবজি শরীরে সুস্থতা বজায় রাখতে অনেক উপকারী। তাই প্রতিদিন সালাদ হিসেবে অথবা রান্না করা সবজি খাদ্য তালিকায় রাখুন।
বয়স ধরে রাখতে অলিভ ওয়েল ত্বকের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। প্রতিদিন ২ চা চামচ পরিমাণ অলিভ ওয়েল গ্রহণ করলে ৩১ শতাংশ ক্ষেত্রে ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা কমে যায়। কারন অলিভ ওয়েলে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ত্বককে সজীব রাখতে সাহায্য করে।।।
রোগ প্রতিরোধকারী উপাদান হিসেবে ডিমের গুরুত্ব অপরিসীম। যদিও ডিমের কুসুম একটু উচ্চ চর্বি যুক্ত কিন্তু তার পরেও এটি অনেক প্রোটিন সমৃদ্ধ। ডিমের কুসুমের জিঙ্ক, সেলিনিয়াম এবং অন্যান্য খনিজ লবন শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়া ডিমের নিউট্রিশন বৃদ্ধ বয়সে চোখে ছানি পরা কমাতে সাহায্য কর...।।
আরও পড়ুন

কোমল ও মসৃণ হাত!

হাত আমাদের শরীরের সবছেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। প্রতিদিন আমাদের যেকনো কাজে সবচেয়ে বেশী ব্যাবহার হয় হাতের।  মেয়েদের প্রধানত রান্না-বান্না ও গৃহস্থালি কাজ বেশি করতে হয়। হাতই সেখানে ব্যবহৃত হয় বেশি। তরকারি ও তেল-মশলার দাগ প্রায় সময়ই হাতে লাগে।  এছাড়া বাইরের রোদ, ধুলাবালির কারণে হাতের রঙ কালো হয়ে যায় এবং তা মসৃণতা হারায়। সামান্য কিছু নিয়ম পালন করলেই তার মসৃণতা আবার ফিরিয়ে আনতে পারি।
প্রতিদিন অন্তত ৪ থেকে ৫ বার  হাত পরিস্কার করা উচিত।  হাতে সাবান লাগানোর পর মশ্চারাইজার বা লোশন ব্যাবহার করুন। হাতকে শুস্ক রাখার চেস্টা করুন।

১ টেবিল চামচ গুড়োঁ দুধ, ১ টেবিল চামচ মধু, ১ টেবিল চামচ লেবুর রস ভাল ভাবে মিশিয়ে হাত পায়ে ১০-১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। তারপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে হাত নরম ও মসৃণ হয়।
রোদ এ বের হওয়ার আগে অবশ্যই সম্পূর্ণ হাতে সানস্কিন লোশন ব্যাবহার করা উচিত। এতে সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মি থেকে হাতের ত্বককে রক্ষা করবে।
গোসলের আগে অলিভ অয়েল ও বাদাম তেল হাতে ভালো ভাবে মালিশ করে নিতে পারেন। এতে হাত ভালো থাকবে। গোসল শেষে কোনো হ্যান্ড লোশন কিংবা একটু গ্লিসারিন সমপরিমাণ পানির সাথে মিশিয়ে হাতে মেখে নিতে পারেন। অনেকের কনুইয়ে কালো ছাপ পড়ে। সে ক্ষেত্রে প্রতিদিন এক টুকরো লেবু নিয়ে ঘষে নিলে দাগ উঠে যাবে।
এক চা চামচ লেবুর রস, এক চা চামচ শশার রসের সাথে এক চিমটি হলুদের গুঁড়ো মিশিয়ে একটি পেস্ট বানিয়ে হাতে লাগিয়ে নিন। এরপর এটি শুকিয়ে গেলে ভালো করে পানি দিয়ে হাত ধুয়ে নিন। এতে হাতের কালো দাগ দূর হয় এবং হাত কোমল হয়।
দুই চামুচ মাখন অথবা টক দই এর সাথে এক চামুচ চিনি মিশিয়ে ভালভাবে ফেটে নিন। এবার এই পেষ্ট টা দিয়ে ভালভাবে দুই হাত কনুই পর্যন্ত মাস্যাজ করুন। ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে হাতের চামড়া অনেক নরম হয়।
এই প্যাকটি শুষ্ক ও স্বাভাবিক ত্বকের জন্য ভীষণ উপকারী। সম পরিমাণ লেবুর রস আর মধু মিশিয়ে হাতে পায়ে লাগান। কিছুক্ষণ পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
কমলার খোসা শুকিয়ে সেটা গুঁড়ো করে কাঁচা দুধের সাথে মিশিয়ে হাতে লাগালে অনেক উপকার পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন

যেভাবে নখ সুন্দর রাখবেন

আপনার শরীরে অন্ন অঙ্গ পতঙ্গের মত নখের যত্ন নেওয়া খুব জরুরি, কেননা নখ যদি অসুন্দর হয় তাহলে আপনাকে দেখতে খারাপ লাগবে। আমরা যদি একটু নিজের প্রতি যত্নশীল হই তাহলে আমরা খুব সহজেই আমাদের নখের যত্ন নিতে পারি। আমাদের অসতর্কের ফলে অনেক সময় নখের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ময়লা জমে থাকে যার ফলে আমরা এই হাত মুখে দেই এবং আমরা বিভিন্ন সময় অসুস্ত হয়ে পড়ি। নখের যত্ন নিতে হলে বেশি কিছু করতে হবে না শুধু একটূ নিয়ম মেনে চললেই হবে এর ফলে আমাদের নখ অন্ন সবার থেকে অনেক সুন্দর দেখাবে।
 প্রথমে সুন্দর ভাবে আপনি আপনার নখ পরিষ্কার করবেন। একটু সময় নিয়ে আপনি আপনার নখ ভাল ভাবে ধুবেন। গরম পানি দিয়ে আপনার আঙ্গুল পরিষ্কার করবেন সাথে অবশ্যই নরম ব্রাশ ব্যাবহার করবেন। এর ফলে আপনার হাতের ময়লাগুলো সুন্দর ভাবে উঠে আসবে। প্রতিদিন যদি মানিকেউর করতে পারেন তাহলে আপনার হাতের ময়লা চামড়া গুলো উঠে আসবে। সব সময় আপনার হাত শুষ্ক রাখবেন। আপনার হাত যদি ভিজা থাকে তাহলে আপনার হাতে বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া ঢুকতে পারে এর ফলে আপনি অসুস্ত হতে পারেন। সব সময় আপনার হাত নরম তয়লা অথবা রুমাল দিয়ে মুছবেন।
আপনি যখন আপনার হাত দিয়ে কাপড় ধোয়া, গাড়ি মুছা, ঘর মুছা এই সব কাজ করবেন তখন অবশ্যই গ্লাবস ব্যাবহার করবেন। এর ফলে আপনার হাত বিভিন্ন কেমিক্যাল থেকে সুরক্ষা থাকবে। এটা গুরত্ত্ব পূর্ণ যে আপনার হাতের নখ অবশ্যই নেইল কাটার দিয়ে কেটে ট্রিম করে ফেলবেন। কক্ষনো আপনার নখ উল্টাপাল্টা ভাবে ট্রিম করবেন না এর ফলে আপনার নখ নষ্ট হয়ে যেতে পারবে। সব সময় সুন্দর করে নখ কেটে তারপর ভালভাবে ট্রিম করবেন যাতে শেপ নষ্ট না হয়। নেইল কাটার দিয়ে আস্তে আস্তে করে নখ কাটবেন।
 ভাল মইসযারাইযার দিবেন যাতে আপনার নখ শুষ্ক না থাকে। আপনি যখন আপনার হাতে লোশান্‌ অথবা মইসযারাইযার দিবেন খেয়াল রাখবেন যাতে করে নখে ভালভাবে লাগে। অলিভ অয়েল ভাল মইসযারাইযার আপনি ঘুমাতে যাওয়ার আগে এতা ব্যাবহার করতে পারেন। এটা আপনার নখকে অনেক ভাল রাখবে। একটু সময় নিয়ে মাসায করবেন। এই মাসায আপনার রক্ত চলাচল করতে সাহায্য করবে এবং আপনার নখকে কঠিন, সাস্থবান করতে সহযোগিতা করবে। আপনি অলিভ অয়েল দিয়ে মাসায করতে পারেন সপ্তাহে একবার। নরম নখগুলো শক্ত করার জন্য আপনি নেইল হার্ডনার ব্যাবহার করতে পারেন এর ফলে নরম নখগুলো শক্ত হয়ে যেতে পারবে। তারপর পানি লাগলেও নখ সহজেই ভাঙবে না। তাছাড়া আপনি স্বাস্থ্যকর খাবার এবং বালান্সড ডায়েট এর মাধ্যমে আপনি আপনার নখের যত্ন নিতে পারেন। স্বাস্থ্যকর নখের জন্য ক্যালসিয়াম খাবার অনেক প্রয়োজন । নখ ঠিক রাখতে হলে আপনাকে ভিটামিন এ, সি , জিংক এগুলো মানতে হবে।
আর আপনাকে নখ ঠিক রাখতে হলে বোতল অথবা ক্যান নখ দিয়ে খোলা যাবেনা। ভালভাবে মেনিকিওর করতে হবে আবার বেশি মেনিকিওর করতে আপনা নখ নরম হয়ে যেতে পারে দাঁত দিয়ে কক্ষনও নখ কাটবেন না এর ফলে নখ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। ভেজা নখ কখনও কাটবেন না কারন এর জন্য নখ ভেঙ্গে যেতে পারে। কখনও বেশি গর্ত করে নখ কাটবেন না এর ফলে আপনার নখ অসুন্দর দেখাবে। এইভাবে আপনি আপনার নখের যত্ন  নিতে পারেন।
আরও পড়ুন

ত্বক উজ্জ্বল ও পরিষ্কার রাখার উপায়!!

মেয়েরা সব সময়ই চায় সবাই তার দিকে মুগ্ধ দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকুক। এজন্য তারা ত্বকের যত্নে যথেষ্ট সচেতন থাকে। কিন্তু এ সচেতনতা যখন তাদের কোন উপকারে না আসে তখন তাদেরকে মানসিকভাবে ভেঙে পড়তে দেখা যায়। আমাদের আজকের আয়োজনে আপনার জন্য থাকছে কয়েকটি ন্যাচারাল বিউটি টিপস, যা অনুসরণে আপনার ত্বক হয়ে উঠবে কোমল, স্নিগ্ধ এবং উজ্জ্বল।

টিপস ১
ত্বক উজ্জ্বল এবং ফর্সা করার জন্য লেবুর রস ও জৈব ঘাস এক সাথে মিশ্রণ করে নিয়ে এটা আপনার মুখে এবং ঘাড়ে ১০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন এবং ধুয়ে ফেলুন। এটা প্রয়োগে আপনার মুখের ব্রণ এবং কালো দাগ দূর হবে এবং ত্বক পরিষ্কার হবে।
টিপস ২
প্রতিদিন কমপক্ষে ২ লিটার বিশুদ্ধ পানি পান করুন। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পানে ত্বকের শুষ্ক ভাব দূর হয় এবং ত্বক হয়ে উঠে কোমল।
টিপস ৩
মুখে যদি ব্রণ থাকে তাহলে চা গাছের তেল তুলার সাহায্যে ব্রণের উপরে কয়েক ঘণ্টা পরপর প্রয়োগ করতে থাকুন। প্রতি রাতে ঘুমাতে যাওয়ার পূর্বে ভিটামিন ই তেল আক্রান্ত স্থানে ১ ঘণ্টার জন্য প্রয়োগ করুন।
টিপস ৪
অতি দ্রুত ত্বকের গোলাপি আভা ফিরিয়ে আনতে অলিভ, কোকোনাট এবং জুজুবা তেল কয়েক ফোঁটা আপনার গালে এবং ভ্রু এর হাড়ে ধীরে ধীরে প্রয়োগ করুন।
টিপস ৫
ভাল ঘুম ত্বকের জন্য উপকারী। তাই ত্বকের যত্নে অবশ্যই সিল্ক এর বালিশ ব্যবহার করুন। এতে আপনার ঘুম পরিষ্কার হবে এবং আপনার ত্বক প্রাণবন্ত হয়ে উঠবে।
টিপস ৬
ত্বককে মসৃণ ও কোমল রাখতে সামুদ্রিক কড মাছের যকৃত দ্বারা তৈরি তেল সম্পূরক উপাদান হিসেবে ব্যবহার করুন। এক্ষেত্রে লেবুর রস এবং কড লিভার তেল এর মিশ্রণ তৈরি করে নিয়ে শরীরে প্রয়োগ করতে পারেন।
টিপস ৭
সবুজ শাকসবজি ত্বকের জন্য একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক উপাদান। এটা আপনি রান্না করে অথবা রস বানিয়ে খেতে পারেন। যদি রস বানিয়ে খেতে চান তাহলে প্রতিদিন এক কাপ করে নিয়মিত খাবেন। এটা আপনার ত্বকের বর্ণ উজ্জ্বল রাখবে এবং আপনার পরিপাকতন্ত্র সচল রাখবে।
আরও পড়ুন

গ্রীষ্মের দাবদাহে চোখের যত্ন!

বাংলাদেশে অন্যান্য আবহাওয়ার তুলনায় গ্রীষ্মকাল খানিকটা বৈচিত্র্য নিয়ে আবির্ভূত হয়। চারিদিকে ধুলা ময়লা, সূর্যের অতিরিক্ত তাপ ও সূর্যালোক এ আবহাওয়ার চিরায়ত বৈশিষ্ট্য। সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মি চোখের রেটিনার জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক। কথায় আছে, চোখ মনের কথা বলে। চোখের চারপাশে কালো দাগ থাকলে কথা আর কাজে মিল খুঁজে পাওয়া কষ্টসাধ্য হয়ে পড়বে। চোখ আপনার সৌন্দর্যের প্রতীক। এ ব্যপারে আপনাকে অবশ্যই সচেতন হতে হবে। নিচে চোখের যত্নের কিছু টিপস দেয়া হলঃ
১- সানগ্লাস ব্যবহার করুন
গ্রীষ্মকালে দিনের বেলা ঘরের বাইরে বের হলে চোখে সানগ্লাস পরিধান করুন। এটা আপনার চোখের লেন্স কে সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মি থেকে রক্ষা করবে। এছাড়াও রাস্তার ধুলাবালি থেকে চোখের সুরক্ষা নিশ্চিত করবে।

২- নিয়মিত চোখের চেকাপ করিয়ে নিন
শরীরের অন্যান্য অংশের চেকাপ এর থেকে নিয়মিত চোখের চেকাপ করা অত্যন্ত জরুরি। মহিলাদের মধ্যে যেসব সমস্যাগুলো খুব বেশি পরিলক্ষিত হয় সেগুলো হচ্ছে- চোখ শুকিয়ে যাওয়া, গ্লুকোমা এবং রেতিনাপ্যাথি। আপনার বয়স যদি ৩০ এর কাছাকাছি হয় তাহলে এখুনি একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এর নিকট যান এবং প্রয়োজনীয় চেকাপগুলো সেরে নিন।
৩- ভারী কাজের সময় আরও বেশি যত্নবান হন
ঘরের গৃহিণী হিসেবে আপনাকে অনেক ভারী কাজ করতে হয়। পরিষ্কারক এর কাজে ব্যবহৃত রাসায়নিক পদার্থ অত্যন্ত সাবধানে ব্যবহার করুন যাতে এগুলো আপনার চোখে পবেশ না করে।
৪- পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করুন
চোখের সৌন্দর্য ধরে রাখতে হলে অবশ্যই ভিটামিন সমৃদ্ধ পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। তাছাড়াও প্রচুর পরিমাণে সবুজ শাক সবজি খেতে হবে। এটা আপনার চোখের দৃষ্টিশক্তি পরিষ্কার রাখবে।
৫- প্রসাধনী সামগ্রী ব্যবহারের পূর্বে ভাল ভাবে দেখে নিন
আপনারা যারা সাজগোজ করতে ভালবাসেন তাদের জন্য প্রসাধনী সামগ্রী বিরাট এক আশীর্বাদ। কিন্তু এগুলো ব্যবহার করার পূর্বে অবশ্যই মেয়াদ আছে কিনা এটা দেখে নিন।
৬- গর্ভাবস্থায় চোখের যত্ন নিন
শতকরা ৫০ জন মহিলা গর্ভাবস্থায় ব্লাড সার্কুলেশন ও হরমোনের পরিবর্তনের কারণে চোখের সমস্যার সম্মুখীন হয়। তাই এ সময়টাতে চোখের প্রতি আরও যত্নবান হওয়া উচিৎ।
৭- কম্পিউটারে বিরতিহীন কাজ করা থেকে বিরত থাকুন
কম্পিউটারে কাজ করার ফলে চোখের চারপাশ কালো হয়ে যায়, চোখের জ্যোতি কমে আসে। তাই, একটানা কাজ না করে খানিকক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে কাজ করলে চোখের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।
৮- ঘুমানোর পূর্বে মেকআপ মুছে ফেলুন
চোখ শরীরের সব থেকে সংবেদনশীল একটি অংশ। তাই ভারী মেকআপ নিলে ঘুমানোর পূর্বে সেটা অবশ্যই অতি যত্ন সহকারে মুছে ফেলুন।
আরও পড়ুন

শীতের শুরুতে ছেলেদের ত্বক এবং চুলের সমস্যা এবং সমাধান!!

ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে শীত ও আবার ঘুরে চলে এল। আর এর সাথে সাথেই শুরু হয়ে যায় ত্বক ও চুলের যত সমস্যা। অনেকেই মনে করেন ছেলেদের রূপচর্চার কোনো প্রয়োজন নেই। কিন্তু শীতের শুরুতে তাদের ত্বকেরও অনেক সমস্যা শুরু হয়। চুল ভাঙ্গা, রুক্ষ ও চিটচিটে হয়ে যাওয়া, র‍্যাশ, ত্বকের শুষ্কতা, ঠোঁট ফাটা, পায়ের গোড়ালী ফাটা আরও কত কি। সাধারণত হঠাৎ করে ঋতু পরিবর্তনের সময় ত্বকের সহনশীলতা বদলে যায় ফলে এই সব সমস্যাগুলো হয়ে থাকে। তাই আজ আমরা এই শীতে ছেলেদের ত্বকের ও চুলের কিছু সাধারন সমস্যা নিয়ে কথা বলব এবং এ থেকে মুক্তির উপায় আলোচনা করব।
শীতে আপনার ত্বকের সবচেয়ে বড় একটি সমস্যা হচ্ছে শুষ্কতা। মুখ ধোয়ার পরে তো এটি এত টানটান হয়ে থাকে যা খুবই আস্বস্থিকর। ক্রিম লাগানোর কিছুক্ষন পর্যন্ত ভালো থাকলেও কিছুক্ষন পর অতিরিক্ত তেল চিটচিটে হয়ে যায়। ফলে বারবার মুখ ধুতে হয়। তাই এ সময় এর চাই একটু অতিরিক্ত যত্ন। ত্বকের শুষ্কতা কমাতে প্রতিদিন সকালে ও রাতে মশ্চারাইজার যুক্ত ক্রীম ব্যাবহার করুন। এছাড়া রাতে ঘুমানোর আগে ১/৪ কাপ দুধ এ ১ চামুচ মধু ও ১ চামুচ এলোভেরা জেল মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে দিন। ২০ মিনিট পর কুসুম গরম পানিতে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এতে করে আপনার ত্বকের শুষ্কতা তো কমবেই তার সাথে আপনার মুখ হয়ে উঠবে আরো কোমল ও উজ্জ্বল।

শীত কালে অনেকেরই চুল রুক্ষ হয়ে যায় এবং চুলে এক ধরনের চিটচিটে ভাব চলে আসে। এর ফলে অনেক সময় চুলের আগা ফেটে যায়। তাই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে শীতের রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে চুলে নারিকেল তেল বা অলিভ অয়েল গরম করে ম্যাসাজ করে নিতে পারেন। একটি স্টীলের বাটিতে নারিকেল তেল অথবা অলিভ অয়েল নিয়ে নিন। এবার একটা কাচা আমলকী কেটে এর সাথে মিশিয়ে নিন। এবার এটাকে চুলার উপর একটা কাপড় দিয়ে ধরে কিছুক্ষন গরম করে নিন। কিছুক্ষন রেখে গিয়ে কুসুম গরম থাকতে চুলের আগায় ও গোড়ায় ভালো করে আঙ্গুল দিয়ে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে তেল ম্যাসাজ নিন। মনে রাখবেন কখনোই খুব গরম তেল চুলে লাগাবেন না। এতে চুল পরে যেতের পারে। সারা রাত চুলে তেলের উপস্থিতিতে চুলের রুক্ষ ভাব কেটে যাবে এবং চুল হয়ে উঠবে ঝলমলে উজ্জ্বল।
শীতে ত্বকের আরেকটা সমস্যা হচ্ছে র‍্যাশ। অনেক সময় শরীরে লাল, ছোট ছোট ফুসকুনির মত হয়ে থাকে। এগুলো সাধারণত শীতকালে ব্যাক্টেরিয়ার আক্রমন ও উলের পোশাক পরার কারনে হয়ে থাকে। এগুলো শরীরে চুলকানি ও অস্বস্থিকর অবস্থা তৈরী করে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে প্রতিদিন গোসলের পানিটাকে একটু ফুটিয়ে হালকা গরম পানি দিয়েই গোসল করুন। এছাড়া পানির ব্যাক্টেরিয়া দূর করার জন্য এন্টিসেপ্টিক জাতীয় কোনো লিকুইড মিশিয়ে নিতে পারেন। সবসময় উষ্ণ থাকার চেষ্টা করুন। উলের কাপড় পরার সময় অবশ্যই তার নিচে সুতি অথবা অন্য পাতলা এবং আরামদায়ক কাপড়ের কিছু পরে নিবেন।
শীতের দিনে আরেকটা কমন সমস্যা হচ্ছে পায়ের গোড়ালী ফেটে যাওয়া। এ থেকে মুক্তি পেতে প্রতিদিন ঘুমানোর আগে অবশ্যই পায়ে পেট্রোলিয়াম জেলী লাগিয়ে নিতে পারেন। এছাড়া প্রতিদিন গোসলের সময় শক্ত কিছু দিয়ে পায়ের গোড়ালীটা একটু ঘষে নিতে পারেন। এতে মৃত কোষগুলো বের হয়ে যাবে। এছাড়া নিয়মিত মশ্চারাইজার যুক্ত লোশন ব্যাবহার করুন। এতে করে হাত পায়ের খসখসে ভাব থাকে না।
আরও পড়ুন

বাংলাদেশ থেকে আমি যেভাবে পেপ্যাল এর টাকা উত্তোলন করি একইভাবে কিন্তু আপনিও করতে পারেন!!!

বন্দুরা কেমন আছ? আশা করি ভাল আছ। post করলাম, ভুল হলে মাফ করে দিয়।আর ভাল লাগলে please comment করো।আমি অব্যশই তোমাদের comment এর উপর  next post  দিব।

বাংলাদেশ থেকে আমি যেভাবে পেপ্যাল এর টাকা উত্তোলন

করি একইভাবে কিন্তু আপনিও করতে পারেন

paypal money বাংলাদেশ থেকে আমি যেভাবে পেপ্যাল এর টাকা উত্তোলন করি একইভাবে কিন্তু আপনিও করতে পারেন.

মুখ বন্ধ

online earn এ হাতেখড়ি নিয়েছিলেন বা যারা আরো আগে থেকেই এসব নিয়ে টোকাটুকি করতে ছিলেন তাদের অনেকেই একটি কমন সমস্যায় পড়েন যাদের মধ্যে কেউ কেউ আমাকে জানান। সমস্যাটি হল যে এসব সাইট থেকে যৎসামন্য হলেও আয় করার নিশ্চয়তা আছে কিন্তু তা হাতে পাবার একমাত্র উপায় হল পেপ্যাল যা বাংলাদেশে অনুমোদিত নয়। তাহলে আয় হলেই লাভ কি? যদি তা হাতেই না পাওয়া গেল? যাইহোক এদেশে পেপ্যাল অনুমোদিত নয় একথা ঠিক কিন্তু পেপ্যাল থেকে টাকা একেবারেই যে হাতে পাবার উপায় নেই তা ঠিক না নয়তো আমি পাচ্ছি কি করে? যাই হোক আমি আজ আমার এই পোস্টে কি করে পেপ্যাল থেকেও বাংলাদেশে টাকা হাতে পাওয়া যায় মোদ্দাকথা আমি কি ভাবে পাই তা নিয়েই আলোচনা করব। তবে আপনারা যখন লেনদেন করবেন নিজ দায়িত্বে করবেন এবং নিজেরা যাচাই করে নেবেন।

পদ্ধতি এক

এই পদ্ধতিটি আমার কাছে সবচেয়ে সহজ বলে প্রতীয়মান হয়েছে। এই পদ্ধতিতে বিভিন্ন অর্থ লেনদেন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে টাকা আনা যায়। এমনই একটি প্রতিষ্ঠান হলো পেপ্যালবিডি ডট কম। এই সাইটে আপনি একাউন্ট খোলার পর তাদের অফিসে গিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র এবং ২০০ থেকে ৫০০ টাকা বার্ষিক সদস্য ফি দিয়ে একাউন্টটি একটিভ করে নেবেন। এরপর যখনই আপনার পেপ্যাল থেকে টাকা তোলার দরকার হবে আপনি তাদের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। প্রতি লেনেদেনে তারা ৫% থেকে সর্বোচ্চ ১০% ফি রাখতে পারে।

পদ্ধতি দুই

এই পদ্ধতি একটু জটিল তা ঠিক তবে শুরুতে আমিও এ পদ্ধতিটি যেমন ব্যাবহার করতাম তেমনি এখনও একটু বড় এমাউন্ট হলেই এ পদ্ধতিটি ব্যাবহার করি। এটা হচ্ছে ওডেস্ক বা ইনফোলিংস থেকে Payoneer এর কার্ড আপনার ফেসবুক বা ব্লগের কোন বিদেশী বন্ধুকে অনুরোধ করে সংগ্রহ করিয়ে তার ঠিকানায় একটি পেপ্যাল একাউন্ট খুলে তারপর ঐ কার্ডটি একটিভ করে তা দিয়ে পেপ্যাল একাউন্ট ভেরিফাই করে এবার কার্ডটি আপনার কাছে পাঠিয়ে দিতে বলুন। এবার আপনার পেপ্যালে জমাকৃত টাকা এই কার্ডের অনলাইনে একাউন্টে যে কোন সময় উইথড্র করে আপনার কার্ডটি দিয়ে টাকা তুলতে পারবেন নিকটস্থ কোন এটিএম বুথ থেকে যা এ ধরনের লেনদেন সাপোর্ট করে।
DSC03548 বাংলাদেশ থেকে আমি যেভাবে পেপ্যাল এর টাকা উত্তোলন করি একইভাবে কিন্তু আপনিও করতে পারেন.

পদ্ধতি তিন

এ পদ্ধতিটি তাদের জন্য যারা অনলাইনে কম টাকা আয় করেন বিভিন্ন রেফারেল বা রিভিউ দিয়ে তারা যেন মাসের নেট বিল বা মোবাইল খরচটা অন্তত চালিয়ে নিতে পারেন এর মাধ্যমে। আমি মাঝে মাঝে Co.cc এর রেফারেল আয় দিয়ে এভাবে মোবাইল বা নেট বিল দিয়ে থাকি। এটা হল যে কোন ভাবে একটি পেপ্যাল একাউন্ট খুলে (ভেরিফাই এর দরকার নেই) তারপর সেখানে আয়ের জমাকৃত টাকা remit2cell.com বা flexi-load.com থেকে সরাসরি মোবাইলে নিযে আসা যায়। যা থেকে খুব সহজেই নেট বা মোবাইল বিলের খরচটা হয়ে যায় আর আমার মনে হয় অনলাইনে আয়ের জন্য একটু সময় দিলেই এ খরচটা উঠানো যায়।
আজ এ পর্যন্তই আরো কিছু পদ্ধতি নিয়ে খুব শীঘ্রই আরেকটি পোস্ট করব।এসব নিয়ে বিস্তারিত next post এ লেখা হবে।আর তোমাদের comment এর উপর next post দেয়া হবে,
my payment proof
3049058345 3ecdb568b1 বাংলাদেশ থেকে আমি যেভাবে পেপ্যাল এর টাকা উত্তোলন করি একইভাবে কিন্তু আপনিও করতে পারেন.
আরও পড়ুন
ফায়ারফক্স OS কি?কিভাবে এই ফ্লাটফর্ম এর জন্য Apps বানাবেন।[সম্পূর্ন টিউটোরিয়াল]

ফায়ারফক্স OS কি?কিভাবে এই ফ্লাটফর্ম এর জন্য Apps বানাবেন।[সম্পূর্ন টিউটোরিয়াল]

ফায়ারফক্স OS: 
ফায়ারফক্স অপারেটিং সিস্টেম একটি লিনাক্স ভিত্তিক ওপেন সোর্স অপারেটিং সিস্টেম যা স্মার্টফোন এবং ট্যাবলেট কম্পিউটার দ্বারা বিকশিত হচ্ছে। এটি প্রদর্শিত হয়েছে অ্যানড্রইড-সামঞ্জস্যপূর্ণ স্মার্টফোনের সাথে। ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৩ তারিখে এর প্রথম ভার্সনটি বাজারে আসে।
Mozilla Smartphone:
ফায়ারফক্স অপারেটিং সিস্টেম চালিত  Mozilla Smartphone তৈরি করছে মজিলা ফাউন্ডেশন।  ফায়ারফক্স ব্রাউজার প্রতিষ্ঠানের তৈরি এ স্মার্টফোনটি হবে বিশ্বের সব থেকে সাশ্রয়ী মূল্যের স্মার্টফোন। মাত্র ২৫ ডলার বা ২ হাজার টাকার এ ফোনটি তৈরির জন্য এরই মধ্যে চীনের চিপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান স্পিডট্রামের সঙ্গে চুক্তি করেছে মজিলা।

ফায়ারফক্স অপারেটিং সিস্টেম চালিত এ স্মার্টফোনে থাকবে ৩.৫ ইঞ্চি ডিসপ্লে, যার রেজুলেশন ৩২০ বাই ৪৮০ পিক্সেল। এছাড়া থাকবে ওয়াইফাই, বস্নুটুথ, এফএম রেডিও ও ২ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা। ডিফল্ট ব্রাউজার থাকবে মজিলা ফায়ারফক্স, যাতে থাকবে এইচটিএমএল৫ সাপোর্ট। বিশ্লেষকদের ধারণা স্মার্টফোনের জন্য ফায়ারফক্স অপারেটিং সিস্টেম নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষায় এবার আসবে গতি, স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা অচিরেই পাবেন আরও একটি চমৎকার অপারেটিং সিস্টেম।
Mozilla Smartphone এর জন্য Apps তৈরী করতে যা যা জানতে হবে:
HTML5
JavaScript
CSS3
এই তিনটি বিষয়ের মোটামোটি বেসিক জানলেই হবে।
Apps বানাতে যা যা লাগবে:
Firefox Browser
Firefox OS Simulator
Editor To Write Code  [ যেমন: Notepad++/Dreamweaver ইত্যাদি]
যেভাবে Apps বানাতে হয়:
Apps বানানোর জন্য প্রথমে Firefox Browser এর সাথে Firefox OS Simulator সংযুক্ত করে নিতে হবে। নিম্নের মত করে গুগুলে সার্চ দিই।

তারপর সেটা ফায়ারফক্স এর সাথে add করে নিতে হবে।

ফায়ারফক্স ব্রাউজার এর সাথে Add করার জন্য প্রায় 40mb ডাটা খরচ হতে পারে। এখন সিমুলেটর আমাদের ব্রাউজার এর সাথে যুক্ত হয়ে গেল। কাজটা যথাযথভাবে হল কিনা তা Tools> Add-ons গিয়ে চেক করতে পারি।

Simulator Dashboard - Firefox OS: চেক করার জন্য Tools থেকে Web Developer থেকে Firefox OS Simulator এ ক্লিক করলে Dashboard টি ওপেন হবে।

যা দেখতে মোটামোটি নিচের ছবির মতো।

OK, এবার কোড লেখার পালা।
কোড লেখার জন্য আমরা শুরুতে একটা ফোল্ডার তৈরী করে নিব। ফোন্ডারের নাম যে যার মত করে দিতে পারেন। এবার Notepad++ ওপেন করি। সেখানে নিচের কোডটুকু কপি করে পেষ্ট কারি। তারপর এটিকে manifest.webapp নামে আমাদের তৈরী করা ফোল্ডারে সেভ করি। এখানে আমি আমার তথ্য দিয়েছি আপনি আপনার তথ্যও দিতে পারেন।
{
"name": "Hello",
"version":"1.1",
"description": "ass hole",
"launch_path":"/index.html",
"permission":{
"storage":{
"description": "i need some storage"}
},
"developer":{
"name": "Omur Mohammad Faruk",
"url": "http://www.fb.com/omurmohammadfaruk"
}
}
এই manifest.webapp ফাইলটিতে অ্যাপস ও ডেভেলপার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া থাকে। যেমন, Apps Name, Developer Name, Version, Discription of Apps, আ্যাপসটি কোন কোন সেন্সরগুলো ব্যবহার তার বর্ননা, আইকন ইত্যাদি। আমরা এই অ্যাপসটিতে কোন আইকন ব্যবহার করি নাই। আইকন না ব্যবহার করার কারণে Error না দেখালেও warning দেখাবে।
কোড লেখার ১ম পর্ব শেষ। এখন আমরা html দিয়ে কোড করবো। নোটপ্যাড++ এ নতুন page নিয়ে তাতে নিজের মত করে html কোড করি অথবা নিচের কোডটুকু কপি করে পেষ্ট করি।
<html>
<head>
</head>
<body>
<p> Hello, This is Omur Mohammad Faruk</p>
</body>
</html>
এবার home.html নামে এটাকে সেভ করি। এখানে একটা কথা বলে রাখা দরকার যে, এই ফাইলটিকে অবশ্যই home.html নামে সেভ করতে হবে। কারণ manifest.webapp ফাইলে আমি আমার অ্যাপসটির launch_path হিসাবে home.html সেট করে দিয়েছি। বিষয়টি খেয়াল রাখা জরুরী।
এবার Mozilla Smartphone এ আমাদের অ্যাপসটি রান করার সময় হল। যেহেতু আমাদের কাছে Mozilla Smartphone নাই সেহেতু আমরা সিমুলেটর ব্যবহার করবো। তো শুরু করা যাক...
এবার Simulator Dashboard - Firefox OS: গিয়ে Add Directory ক্লিক করি।

Add Directory তে ক্লিক করে আমাদের তৈরী করা ফোল্ডার থেকে manifest.webapp ফাইলটি দেখিয়ে দিতে হবে। তারপর একটি ভার্চুয়াল Smartphone ওপেন হবে এবং অটোমেটিক্যালি আমাদের তৈরী করা আ্যাপটি দেখাবে।

ওপেন হচ্ছে ...

আমাদের অ্যাপসটির ফলাফল দেখাচ্ছে। অবশেষে শান্তি মিলিয়া গেল...
ফায়ারফক্স OS এর কিছু স্ক্রিনশট:



কেন ফায়ারফক্স OS নিয়ে কাজ করবেন:
ফায়ারফক্স ওএস এর প্রধান  বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটি তৈরী ওয়েব টেকনোলজি উপর ভিত্তি করে তৈরী করা। যা OS টিকে শক্তিশালী ও দ্রতগতির করে তুলেছে।  লিনাক্স কার্নেলের উপর ফায়ারফক্স ব্রাউজার ইঞ্জিন বসিয়ে তার উপর UI (User Interface) এর লেয়ার বসানো হয়েছে এবং যার (UI),সব অ্যাপ, ম্যাপ ইত্যাদি সব সম্পূর্ণটাই HTML5, CSS3 ও JavaScript দিয়ে তৈরি। অন্যান্য অপারেটিং সিস্টেম চালিত ফোনে বাংলা লিখতে হলে আপনাকে থার্ড পার্টি কিবোর্ড Apps ব্যবহার করে লিখতে হবে।  কিন্তু Firefox OS এ বাংলা লেখার জন্য বিল্ট-ইন বাংলা কিবোর্ড রয়েছে এবং ফোনেটিক ও প্রভাত লেআউট ব্যবহার করে বাংলা লিখতে পারবেন।
আরেকটি বিষয় কোন ডিভাইসের পারফমেন্স নির্ভর করে দুইটা বিষয় এর উপর।
১. Hardware
+++OS+++
২. Software
Software এবং Hardware এর মাঝে সম্পর্ক করে দেয় OS. যেহেতু ফায়ারফক্স এর অ্যাপ গুলা ওয়েব বেসড। কম Hardware এ অনেক ভালো পার্ফমেন্স পাওয়া যায়। এই কারনে Firefox OS অত্যন্ত দ্রুতগতির । তাই এটি আপনার স্মার্টফোন ব্যবহারের অভিজ্ঞতাই পাল্টে দিবে। আর তাছাড়া Firefox OS লো কনফিগের Hardware এ চলতে কোন সমস্যা হয় না। তাই Firefox OS এ চালিত স্মার্টফোন পারফমেন্সের তুলনায় বেশী । মোজিলার Firefox OS এর মুল উদ্দেশ্য হল কম মুল্যে সবাইকে ইন্টারনেট চাহিদা পুরন করতে পারে এমন ডিভাইস তৈরী করা। যার অনেকটাই বর্তমানে Firefox OS এর আগমনের মধ্য দিয়ে বাস্তব হতে যাচ্ছে। আ্যান্ড্রেয়েড এ Apps ডাউনলোড করতে একাউন্ট লাগে কিন্তু ফায়ারফক্স মার্কেটপ্লেস থেকে Apps নামাতে কোন একাউন্ট লাগে না।
আরও পড়ুন
স্যামসাং বনাম অ্যাপল,স্যামসাংকে ১১৯ মিলিয়ন ডলার জরিমানা!!

স্যামসাং বনাম অ্যাপল,স্যামসাংকে ১১৯ মিলিয়ন ডলার জরিমানা!!

অ্যাপলের দুটি প্যাটেন্ট নকল করার অভিযোগে দক্ষিণ কোরিয়ার আরেক প্রযুক্তি পণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান স্যামসাং ১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার জরিমানা! অর্থাৎ স্যামসাংকে আবারও ১১৯ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করতে হবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যাপলকে। তিন বছর ধরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অ্যাপল ও স্যামসাংয়ের বিভিন্ন বিষয়ে মামলা চলছে।

http://www.technobuffalo.com/wp-content/uploads/2012/11/apple-vs-samsung-court-011.jpg

এর মধ্যে ভিডিও আদান প্রদান ও মোবাইলের ক্যামেরা ব্যবহারের বিষয়ে অ্যাপলের বিরুদ্ধে পেটেন্ট আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছে স্যামসাং। স্যামসাং এর দাবী অ্যাপলের আইফোন ফাইভ স্যামসাং গ্লাক্সি-এর ব্লুটুথে আদান প্রদান করার অ্যাপস নকল করেছে। পাশাপাশি আইফোন ফাইভ-এর ক্যামেরার অ্যাপ্স এর আইডিয়াটাও স্যামসাং গ্লাক্সি। ফলে অ্যাপলের আইফোন ফাইভের বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের দাবি জানিয়েছে স্যামসাং।

বলা বাহুল্য মোবাইল ফোন কিংবা স্মার্ট ফোন যাই বলি না কেন বিক্রি এবং জনপ্রিয়তার দিক থেকে এখন কোরিয়ার স্যামসাং-ই সবচেয়ে এগিয়ে আছে। অপরদিকে গুগোলের Android এর কল্যানে স্যামসাং-এর স্যামসাং গ্লাক্সিই বলা যায় বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় হ্যান্ডসেট।
http://images.dailytech.com/nimage/US_Apple_v_Samsung_Courtroom_Wide.jpg
যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যাপলেরও রয়েছে পন্যের মান নিয়ন্ত্রনের উপর বিশেষ সুনাম এবং পাশাপাশি অ্যাপলের ব্রান্ডিং লেভেলও হাই। অপরদিকে অ্যাপলের রয়েছে নিজেস্ব অপারেটিং সিস্টেম ম্যাক ওস! এদিক থেকে অবস্য ম্যাকই এগিয়ে।
http://www.technobuffalo.com/wp-content/uploads/2012/11/apple-vs-samsung-court-001-640x480.jpg
শেষে একটা ছবির মাধ্যমে স্যামসাং বনাম অ্যাপল এবং সাথে নোকিয়ার বর্তমান পরিস্থিতি স্পস্ট করছি। আজ এটুকুই মামলার পরবর্তি রায় নিয়ে আবার ফিরে আসব আশা করছি ততক্ষন পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন।
http://youngblah.com/wp-content/uploads/2012/09/Apple-Vs-Samsung-Vs-Nokia.jpg
বর্তমানে স্যামসাং বনাম অ্যাপল যুদ্ধে যখন পৃথিবী তোলপাড় ঠিক এমন সময় নিরবে নিবৃতে যেন নোকিয়ার সব আয়োজনই ব্যার্থ। অথচ তিন-চার বছর পুর্বেই সিমব্রিয়ান অপারেটিং সিস্টেম নিয়ে নোকিয়াই ছিল সবার সামনে।
আরও পড়ুন
Microsoft এর পুরস্কার পেল বাংলাদেশের পাঁচ প্রতিষ্ঠান

Microsoft এর পুরস্কার পেল বাংলাদেশের পাঁচ প্রতিষ্ঠান

মানুষের কাছে Microsoft এর বিভিন্ন সেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের পাঁচটি প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করেছে Microsoft বাংলাদেশ।

Microsoft বাংলাদেশ রাজধানীর একটি হোটেলে ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে ‘ইউ’ নামের একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। এই অনুষ্ঠানে ২০১৪ সালে Microsoft এর পণ্য সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে খুচরা বিক্রেতা ও করপোরেটসহ বিভিন্ন বিভাগে পাঁচটি প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করে Microsoft বাংলাদেশ।

পুরস্কার পেয়েছে বাইনারি লজিক, করপোরেট প্রযুক্তি, কম্পিউটার সোর্স, স্মার্ট টেকনোলজিস ও টেক অ্যান্ড গ্লোবাল প্রাইভেট লিমিটেড।!

অনুষ্ঠানে Microsoft এর এই সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর হাতে পুরস্কার তুলে দেন Microsoft বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার সোনিয়া বশির কবির।!

সোনিয়া বশির কবির অনুষ্ঠানে বলেন, Microsoft বর্তমানে শুধু windows আর অফিস পণ্য দিয়েই পরিচিত নয়। Microsoft সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান এখন।বর্তমানে Microsoft এর কাছে মানুষের সব ধরনের সমস্যার সমাধান আছে।!!
সোনিয়া বশির আরও বলেন,সব সময় সহযোগীদের অনুপ্রেরণা দেয় Microsoft। এই সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোই  মূলত Microsoft এর  ব্যবসা পরিচালনা করে। আর  তাই Microsoft প্রতিবছর সহযোগীদের পুরস্কার দেবে।!!

আরও পড়ুন